নাটোরে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন ধরনের ৯৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সেসব অস্ত্র নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাটোরের সাতটি থানায় ৮৯টি অস্ত্র জমা হয়েছে। বাইরে আছে ছয়টি। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ বিবেচিত হবে। এ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাবে যৌথ বাহিনী। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জমা না দেওয়া ছয় আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকরা আওয়ামী লীগ নেতা। এরমধ্যে নাটোর-৩ আসনের সাবেক এমপি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে লাইসেন্স করা দুটি, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের দুটি, সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি ও ঠিকাদার আশফাকুল ইসলামের নামে একটি। আশফাকুল ইসলামের নামে লাইসেন্স করা অপর একটি পিস্তল রবিবার রাতে শহরের স্টেশন কারবালা মোড় থেকে গুলিসহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাছুদুর রহমান বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য সভা করা হয়েছে। অভিযানে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা থাকবেন।