উত্তরাঞ্চলের চরাঞ্চলে প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েই ঝরে পড়ছে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ৯০ শতাংশ ঝরে পড়ে। রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলার ৪ শতাধিক চরেই এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং বেসকারি সংস্থার সূত্র মতে, রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদীবেষ্টিত ১৮টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নে ৪ শতাধিক চরে ৮টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে এখনো গড়ে ওঠেনি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। মূলত এ কারণেই এ অঞ্চলে এত শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় জানান, এ চার জেলার মধ্যে গাইবান্ধায় চরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনক। গাইবান্ধা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের (জিইউকে) তথ্য অনুযায়ী, এ চার জেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদীবেষ্টিত ৪ শতাধিক চরে ১৮ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। এখানে জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ বসবাস করে চরাঞ্চলে। এর মধ্যে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী সংখ্যা অন্তত ৩ লাখ ৪৫ হাজার। এসব চরাঞ্চলে প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে মাত্র ৮টি। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে। চরাঞ্চলে স্থাপিত এসব বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে থাকে ৩ হাজার শিক্ষার্থী। কিছু অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের শিশুকে মূল ভূখন্ডের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলেও বেশির ভাগ পরিবারের শিশুর আর্থিক সমস্যার কারণে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। আবার চরের মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করার পর উচ্চমাধ্যমিক বা কলেজ না থাকায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী কলেজপর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। তারা বেকার হয়ে পড়ে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র চরে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি এবং ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ৩০টি চরে আর কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। চরগুলোর দূরত্ব ও বন্যাকালীন যোগাযোগ সমস্যার কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েও অষ্টম শ্রেণি শেষ করতে পারে না। লালমনিরহাটের রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ড তিস্তার চর বেষ্টিত। এখানে নেই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফুলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান জানান, এ ইউনিয়নে একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেটিও আবার ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে। গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, সব চরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বিষয়টি জানাতে পারব। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, চরগুলোতে স্থায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী প্রাথমিকেই ঝরে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করা যায়। আমরা সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই একটা যৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব।
শিরোনাম
- গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৭১
- বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের
- রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা
- এদেশের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করছে ফ্যাসিস্ট সরকার: গিয়াসউদ্দিন
- প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরামর্শ
- হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ৩২১ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের
- ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে চালু হচ্ছে চার জোড়া কমিউটার ট্রেন
- ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা
- পৌষের আগেই জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামার আভাস
- আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না : ডিবিপ্রধান
- ব্যর্থ লিটন, ২৬ রানের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে বাংলাদেশ
- ছাত্র-জনতার শক্তির কাছে স্বৈরাচার পরাজিত হবেই : মঈন খান
- ১৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া আরিয়ানকে বাঁচানো গেল না
- কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
- নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার ডিকভেলা
- সিরিয়ার নৌঘাঁটি থেকে সরে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
- সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ
- অভিযানে বাধা, কুষ্টিয়ায় ১০ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
- ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
প্রকাশ:
০০:০০, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েই ঝরে পড়ে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভর্তির সুযোগ দাবিতে ‘অনুত্তীর্ণ’ চিকিৎসকদের বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ বিএসএমএমইউ উপাচার্য
১৭ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস
গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না: মামুনুল হক
১১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি