নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয়ন্তিপুর দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পেরোলেও এমপিওভুক্ত হয়নি। বেতন জোটেনি কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের। অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন বেতন ছাড়াই। আবার নতুন শিক্ষক যোগদানও করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কর্মরত ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, জয়ন্তিপুর দাখিল মাদরাসা ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হয়েছে। প্রথমে এটি ফুরকানিয়া মাদরাসা হিসেবে ও পরে এবতেদায়ি এবং সবশেষ দাখিলে উন্নীত হয়। শর্তপূরণের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি, আসবাবপত্র ও নিয়মিত পাঠদান প্রক্রিয়া চালু থাকলেও বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দিতে হচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে। শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে কেউ মুদি দোকান অথবা টিউশনি করে বা বিকল্প উপায়ে সংসার চালাচ্ছেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় একটি সরকারি কলেজ ও একটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে আছে আটটি মাদরাসা, ৪৩টি মাধ্যমিক ও ১৪টি কলেজ। এর মধ্যে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গভাবে, কিছু নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ স্তর এবং কিছু প্রতিষ্ঠান হাইস্কুল থেকে কলেজে উন্নীত করে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। মাদরাসার সুপারিনটেডেন্ট রবিউল ইসলাম বলেন, অর্ধশত বছর আগে স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন। তারা সারা জীবন বিনা পয়সায় শ্রম দিয়ে খালি হাতে বিদায় নিয়েছেন। এক দিন এমপিওভুক্ত হবে এ আশায় বারবারই নতুনভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বপালন করেছেন। তাদের কেউ বেতন পান না।