স্বপ্নের ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে নাসিরনগরের ২৫ যুবকের কাছ থেকে পৌনে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র। এর মধ্যে ১৮ যুবক দেশে ফেরত এলেও সাত যুবক এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় গোয়ালনগর ইউনিয়নের লালুয়ারটুক গ্রামের মো. রেহান উদ্দিন নামে এক অভিভাবক ফরহাদকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে নাসিরনগর থানায় মানব পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে নাসিরনগর পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. আ. জলিল মিয়ার ছেলে সাইদুল, শফিকুর রহমানের ছেলে এমদাদুল ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে আইন উদ্দিন। এ তথ্য নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের। মামলার আসামিরা হলেন- গোয়ালনগর ইউনিয়নের আতাবর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন ও আরমান মিয়া, আবদুল কবিরের ছেলে আতাবর রহমান, আ. জলিলের ছেলে সাইদুল মিয়া, গতা মিয়ার ছেলে আ. জলিল, শফিকুর রহমানের ছেলে এমদাদুল হক, আ. কবিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে আইন উদ্দিন। নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, মানব পাচারের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আটজন ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। লিবিয়ায় নিখোঁজ সাত যুবকরা হলো- গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. রেহান উদ্দিনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, ইউনুছ মিয়ার ছেলে মো. মনির মিয়া, নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাছান মিয়া, এনামুল হকের ছেলে, তফসিরুল হক ও তাকবিরুল হক, শফিকুর ইসলামের ছেলে মিজবাহ উদ্দিন, সারাজ মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফরহাদসহ সবাই মানব পাচারে জড়িত। উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের তৃতীয় পাতায় দালালদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব ২৫ পরিবার শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।