দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ আঞ্চলিক সড়কগুলো চলে গেছে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যানের দখলে। এতে পথচারী ও ভারী যানবাহন চলাচলে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দেখা দিচ্ছে যানজট। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
মহাসড়কে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট লেগে থাকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে। ব্যস্ততম সড়কগুলোর বেশিরভাগই এখন তাদের দখলে। উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও কিছুদিন পর আবার আগের অবস্থায় চলে যায়। পথচারীরা বলছেন, রাস্তা বড় হয়েছে ঠিকই তবে সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দঞ্জ মহাসড়কে ঘোড়াঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড। রাস্তার পাশের অনেক দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানও রাস্তার কিছু অংশ ব্যবহার করছে। ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার, ওসমানপুর বাজার, গাইবান্ধা মোড়সহ বিভিন্ন বাজারে অনেক জায়গাজুড়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শত শত ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান ও সিএনজি। আন্তজেলা বাস সার্ভিস ছাড়াও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে এই সড়ক ব্যবহৃত হয়।
শফিকুল, সুলতানসহ স্থানীয়রা জানান, ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নেয় না কেউ। রাস্তা বড় হয়েছে ঠিকই তবে সুবিধা ভোগ করতে পারছে না পথচারীরা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ, গাড়ি চলাচল করে। দূরপাল্লার ও আন্তজেলা বাস এখানে থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করে। ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজির অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী ওঠানামা করায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অবৈধ স্ট্যাান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী ওঠানামা করার কারণে দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের চিত্র। ঘোড়াঘাটের ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যান দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি কখনোই কাম্য নয়। গাড়ি চালকদের একাধিকবার সচেতন করা হলেও তারা খেয়াল খুশি মতো এটা করেই যাচ্ছেন।
ইতোপূর্বে কয়েকবার মহাসড়কে স্ট্যান্ড উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবার বসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থাও করা হবে।