জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছেন কুমিল্লা শহরতলি ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখাসহ আশপাশের এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবর আবেদনও দেওয়া হয়েছে। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসক, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের প্রশাসককে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতপুর, ছায়াবিতান ও ধর্মপুর এলাকার ড্রেন দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের অশোকতলা, বিসিক ও ঠাকুরপাড়াসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা, ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার ড্রেনের পানি এবং বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়। ড্রেনটি সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হওয়ায় কয়েক বছর ধরে এটি পরিষ্কার করা হয় না। বর্তমানে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে। ড্রেনটির অশোকতলার রেললাইনের নিচে কালভার্ট থেকে পশ্চিম অংশে ধর্মপুর তোয়া হাউজিং এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও ময়লা-আবর্জনার কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ। সামান্য বৃষ্টিতেই ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখা এলাকার রাস্তা ও নিচু ঘরবাড়ি ডুবে যায়। দেখা দেয় তীব্র জলাবদ্ধতা। এলাকায় বসবাসকারী ১০ হাজারের বেশি মানুষ, ছায়াবিতান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখার শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হন।
ছায়াবিতান হাউজিং সোসাইটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় এ সংকট প্রকট হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এলাকার অশোকতলা, বিসিক ও ঠাকুরপাড়ারও পানি এই ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হলো। দৌলতপুর-ছায়াবিতান-ধর্মপুর এলাকা সিটির বাইরে। ফলে জলাবদ্ধতার বিষয়ে প্রতি বছর সিটি করপোরেশনে আবেদন জানিয়েও প্রতিকার মিলছে না। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই জনভোগান্তি নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিটি করপোরেশন এবং আদর্শ সদর উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, শহরতলি ছায়াবিতান, দৌলতপুর ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখা এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। ছোট বাজেটের কাজ হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করার চেষ্টা করা হবে। এটা সম্ভব না হলে আলোচনা করে বিকল্প উপায় বের করা হবে।