কুষ্টিয়ায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সাপের কামড়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৯৩ জন সাপের কামড়ের পর চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জনকে বিষধর সাপ দংশন করেছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সূত্র। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ১০ মাসে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ১৫৫, দৌলতপুরে ৭৫, কুমারখালীতে ১, মিরপুরে ৫২, ভেড়ামারায় ৯৩, খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়। এ?র মধ্যে সাতজন জেনারেল হাসপাতাল ও একজন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিদের হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। ২৮ অক্টোবর সিভিল সার্জন অফিসের পাওয়া তথ্যানুযায়ী, দৌলতপুরে ৬৩, মিরপুরে ১০, ভেড়ামারায় ৩০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম মজুত ছিল। তবে জেনারেল হাসপাতাল, কুমারখালী ও খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুত নেই। আরএমও হোসেন ইমাম জানান, এ অঞ্চলে বিষধর সাপের মধ্যে মূলত গোখরা, কালাচ এবং রাসেল ভাইপার অন্যতম। সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, যে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারছে না। তিনি বলেন, প্রান্তিক এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।