উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের দাপট বাড়ছে। এ কারণে জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো শীতজনিত রোগী বাড়ছে। গতকাল সকাল ৬টায় রাজারাহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার এ তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিনে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ ছাড়া নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে তা আরও বাড়ে। ভোররাতে অনেক ঠান্ডার কারণে বাসিন্দাদের লেপ-কম্বল ও চাদর ব্যবহার করতে হচ্ছে। সকাল ৭টা পর্যন্ত হালকা কুয়াশা থাকে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী গ্রামের কোবাদ মিয়া জানান, ‘এবার এখনে যে শীত শুরু হইছে আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।’ পৌরসভার ভকেশনাল মোড় এলাকার রিকশাচালক লতিফ মিয়া বলেন, ‘ভোর বেলা শুরু করি এসকা চালাই। সকাল হওয়া পর্যন্ত অনেক কষ্ট হয়। শীত-কুয়াশা দিনদিন বাড়ছে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। ক্রমেই আরও কমতে থাকবে। নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।