হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া থেকে লাখাইয়ের মাদনা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কের অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ ও গর্ত। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী ১২ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ ও রোগীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যায়, লোকড়া থেকে মাদনা পর্যন্ত সড়ক দিয়ে লাখাই উপজেলার গোয়াকারা, ভরপূর্ণী, বলাকান্দি, ভবানীপুর, বেগুনাইসহ আশপাশের অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে টমটম, অটোরিকশা ও সিএনজিসহ শত শত যানবাহন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে অনেক স্থানে পিচ ঢালাই উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বের হয়ে গেছে রড। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বৃষ্টির সময় আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে বেহাল এ সড়ক। তখন গর্তে পানি জমে থাকে। দেখলে মনে হয় ডোবা। আবুল কালাম নামে স্থানীয় এক তরুণ জানান, সদর উপজেলার লোকড়া থেকে লাখাইর মাদনা পর্যন্ত সড়কটি খুবই খারাপ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় আমাদের। যানবাহন চলাচলও কষ্টসাধ্য। মিজান মিয়া নামে এক কলেজছাত্র বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের। সড়ক বেহাল থাকায় সবসময় যানবাহনও পাওয়া যায় না।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, মালামাল আনা-নেওয়া ও রোগী পরিবহনে আমাদের বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে পিচ উঠে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা না হলে আরও ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। জাহানারা বেগম নামে এক নারী বলেন, এ সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলও কষ্টকর। তিনি বলেন, শুধু লাখাই উপজেলার মানুষ নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের হাজার হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। ভোগান্তি এড়াতে বাধ্য হয়ে অনেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করেন। তাতে সময় ও ভাড়া দুটোই বেশি লাগে। লাখাই উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আহম্মদ হোসাইন শাহরিয়া বলেন, লোকড়া-মাদনা সড়ক সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা-সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।