লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পারিবারিক বিরোধ মেটাতে গ্রাম্য সালিশ ডেকে এক গৃহবধূকে মারধর করে তালাকনামায় সই কারানোর মামলায় সাবেক এক ইউপি সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম হামিদুল ইসলাম (২৫)। গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে (২৫) হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামে সালিশে মারধর করা হলে তিনি আহত হন।
আহত গৃহবধূ বলেন, বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফুরের নির্দেশে মঙ্গলবার সালিশ বৈঠকে ডেকে তাকে এবং তার বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীকে মারধর করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাঈম হাসান নয়ন বলেন, “মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই আনিছ বলেন, সম্প্রতি ওই গৃহবধূ কাজের সন্ধানে ঢাকা যান। ফেরার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ‘পরকীয়ার অভিযোগ তুলে’ তাকে তাড়িয়ে দেয়। মেয়েটি স্থানীয়দের কাছে বিচার চাইলে সোমবার বিকালে স্থানীয় এক বাড়ির উঠানে সালিশ বসে।
সালিশ চলাকালে মেয়েটির শাশুড়ি ও স্থানীয় এক নারী সবার সামনে মেয়েটিকে মারধর করেন। পরে কাজী ডেকে জোর করে তালাকের কাগজে মেয়েটির সই নেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান এই পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনার তিন নারীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ওই তরুণী হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফুরের ছেলে হামিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ