যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে।
জানা গেছে, সম্প্রতি যুবলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ স্থানীয় এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থক নুর হোসেন মাসুদকে আহবায়ক বেগমগঞ্জ উপজেলা ও সাইফুল ইসলাম সায়েমকে আহবায়ক করে চৌমুহনী পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। একই সময় নোয়াখালী জেলা কমিটি চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সমর্থক জাহাঙ্গীর আলমকে আহবায়ক করে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও ফয়েজুল ইসলাম সুমনকে আহবায়ক করে চৌমুহনী পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। ফলে পাল্টাপাল্টি কমিটি নিয়ে উপজেলার সর্বত্র উত্তেজনা দেখা দেয়। সেই উত্তেজনার রেশেই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চৌমুহনী শহরের হকার্স মার্কেটে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের সাথে চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা প্রধান সড়ক ও পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত চড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় পুরো চৌমুহনী শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৫ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২ জুলাই ২০১৬/শরীফ