২৯ জুলাই, ২০১৬ ১৬:০২

বন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারিকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

বন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারিকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে কুড়িগ্রামের রৌমারিকে দুর্যোগপূর্ণ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ্ মামুন তালুকদার। 

অন্যদিকে বন্যার ১২তম দিনে জেলার ৯ উপজেলায় বানভাসীর সংখ্যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে চলে গেছে।

এদিকে এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামের সদর, নাগেশ্বরী ও উলিপুরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপুল সংখ্যক বানভাসী মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ যথেষ্ট নয় বলে জানা গেছে। দুর্গম চরের মানুষ বন্যা ও বৃষ্টির মধ্যে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ।

বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও ল্যাট্রিনের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে উচু বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার পরিবার। বন্যা কবলিত এলাকার সবগুলো উচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন উচু প্রতিষ্ঠানে বানভাসী পরিবার গুলো তাদের গবাদি পশু নিয়ে গাদা-গাদি করে বসবাস করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানি।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আক্তার হোসেন আজাদ জানান,  বন্যা দুর্গতের মাঝে এ পর্যন্ত ৫শ' ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে জন প্রতিনিধিরা বলছেন এ ত্রাণ সকল বানভাসীর জন্য অপ্রতুল। 


বিডি প্রতিদিন/২৯ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৯

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর