ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সংরক্ষিত সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় আরো দুটি ‘টহল ফাঁড়ি’ করা হচ্ছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ‘টিয়ার চর’ ও চাঁদপাই রেঞ্জের ‘কাগা-বগা’ নামক স্থানে নতুন এই দুটি টহল ফাঁড়ির কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
এর আগে চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী ষ্টেশনের অধিন ‘ঝাঁপশি’ নামক স্থানে গত মার্চ মাসে নতুন আরো একটি টহল ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। বন বিভাগের নতুন এসব টহল ফাঁড়িতে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ও ৬ জন বনরক্ষী থাকবে। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের বনাঞ্চলের আয়তনের ৫১ ভাগই হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের মোট আয়তান হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এরমধ্যে স্থলভাগের পরিমান ৪ হাজার ১৪২.৬ বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৬৮.৮৫ ভাগ। জলভাগের পরিমান ১ হাজার ৮৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১.১৫ ভাগ। জোয়ারের পানিতে সব সময় প্লাবিত হওয়া ম্যানগ্রোভ এই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাগেরহাট ও খুলনায় দুটি বিভাগীয় অফিসসহ ৪টি রেঞ্জে, ১৮টি স্টেশন ও ৫৬ টহল ফাঁড়ীতে সর্বমোট ৮৮৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।
দুর্গম এই সংরক্ষিত বন পাহারায় জনবল ও আধুনিক জলযান সংকটের মধ্যে গত মার্চ মাসে চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী ষ্টেশনের ঝাঁপশিতে নতুন করে একটি টহল ফাঁড়ি স্থাপন করায় খালে মাছ আহরণে পানিতে বিষ দেওয়া বন্ধসহ বনে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এই বাস্তবতায় ‘টিয়ার শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ার চর ও চাঁদপাই রেঞ্জের কাগা-বগাতে আরো নতুন দুটি টহল ফাঁড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের এই প্রস্তাব বন অধিদপ্তর গ্রহণ করেছে। শিগগিরই নতুন আরো একটি টহল ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু হলে সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় আরো গতি আসবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা আরো সহজতর হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল