১৫ জুলাই, ২০১৯ ১৮:৪৭

ভারত থেকে আসা পানিতে আখাউড়ায় ২০ গ্রাম প্লাবিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ভারত থেকে আসা পানিতে আখাউড়ায় ২০ গ্রাম প্লাবিত

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে আখাউড়া স্থল বন্দরের চারিদিকে পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আখাউড়া স্থল বন্দর। 

এছাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ ইতিমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেত, ফসলি জমি, পুকুরসহ এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে ভারতীয় ঢলের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। 

এতে আখাউড়া-আগরতলার একমাত্র ট্রানজিট সড়কের অধিকাংশ জায়গা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্থল বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও আমদানি রফতানি পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলসহ পার্সপোর্টধারী যাত্রী সাধারণের যাতায়াতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  

অতি বৃষ্টি ও ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট কার্যালয় হয়ে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়ক দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  

এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে কর্ণেল বাজার এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ, মোগড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজার, খলাপাড়া, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, উমেদপুর, সেনাবাদি, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, বাগানবাড়ি, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়নপুর, আদমপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, সাহেব নগর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার  রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রাজিব ভুঁইয়া জানান, পাহাড়ি ঢলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে থেকে নেমে আসা পানিতে আমাদের অফিসের ভেতরে পানি থাকার কারণে আমরা অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাতে পারছি না তবে আমদানি-রফতানি আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।

দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলের পানি কালন্দি খাল দিয়ে সামনের দিকে দ্রুত সরতে পারছে না। অন্যদিকে হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার কারণে দক্ষিণ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। 

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, হাওড়া বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষনিক ১০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এদিকে আখাউড়া প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা ও ভেঙে যাওয়া হাওড়া বাধ পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাহেদুল ইসলাম (সার্বিক)।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর