পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কংশ নদীর পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবারের তুলনায় ২০ সেন্টিমিটার কমেছে। এছাড়াও কমেছে সোমেশ্বরী ও ধনু নদীর পানি। অপরিবর্তিত রয়েছে কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি।
যে কারেণ নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো এখনো পানিতে নিমজ্জিত। বীজতলা নষ্টসহ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারছেনা মানুষ। গ্রামীণ সড়কগুলোও ডুবে রয়েছে। শিশুসহ বৃদ্ধরা পড়েছন বেকায়দায়।
জেলার ৫ টি উপজেলার প্রায় ২৫ টি ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক গ্রামের ১৮ হাজার ৫২৭টি পরিবার রয়েছে পানি বন্দি। জেলা প্রশাসন ৩৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুরেছে। জেলা ৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।তবে বৃষ্টি না হলে নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা নেই। কিন্তু যে সকল এলাকাগুলোতে পানি রয়েছে এসব এলাকায় খাবার ও পানি সংকটে রয়েছেন তারা। সুপেয় পানির কারণে দেখা দিতে পারে নান ধরনের রোগ। তবে জেলা প্রশাসন থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলয়েট বিতরণ চলছে বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন