যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সে.মি. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ও মেছড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
জানা গেছে, চুলা তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করে খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে পানিবন্দীরা। ধান-পাটসহ শাক-সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের ভয়াবহ অসুবিধা হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষগুলো সার্বক্ষণিক পানিতে থাকায় পানিবাহিতে রোগ দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করাসহ চলাচলের অসুবিধার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার বিঘ্ন ঘটছে। অনেকের ঘরবাড়ী ৪-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চরাঞ্চলের মানুষ অধিকাংশ কৃষক ও দিনমজুর হওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসকারি কোন সহায়তা পৌঁছায়নি এসব বানভাসী মানুষের কাছে। এছাড়াও বন্যার সাথে ভাঙনের কারণে কাওয়াকোলা ও কাজিপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীর অনেক পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ২০৫ মেট্টিক টন চাল বন্যা কবলিতদের জন্য উপজেলাওয়ারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা বিতরণ শুরু হবে।বিডি-প্রতিদিন/শফিক