উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষাধিক মানুষ।
আজ বুধবার দুপুরে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হয়েছে, যা এই পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সর্বোচ্চ রেকর্ড। রেল লাইনে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুরের তিন উপজেলায় রেল যোগাযোগ।
জামালপুরের সাত উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫২টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত হয়েছে ৬টি পৌরসভাও। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষাধিক মানুষ। রেল লাইনে পানি উঠায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুরের মেলান্দহ-ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ৫৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। তলিয়ে গেছে অন্তত ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উচুঁ সড়কে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বন্যার্তদের জন্য ৫শ’ তাবু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বন্যা দুর্গতদের প্রতিদিন রুটি ও খিচুড়ি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক