বগুড়ার শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের একটি বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এই ঘটনাটি ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৭জুলাই) দুপুরে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাশের জয়লা জুয়ান গ্রামের শাকিল আহম্মেদ (১৬) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের কামরুল ইসলাম সেখের মেয়ে ও স্থানীয় জয়লা গুয়াগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যান্য দিনের ন্যায় ঘটনার রাতে পড়াশোনা শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করলে তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন ছুটে যায় এবং দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই স্কুল ছাত্রী পরিবারের সদস্যদের জানায়, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সে চিৎিকার দিলে দুর্বুত্তরা তাদের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।বগুড়ার শেরপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. মাহজাবিন আক্তার জানান, ওই স্কুলছাত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও কাটা দাগ রয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে বলে জানান এই ডাক্তার।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শাকিল বেশকিছুদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে এই ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি নানা কায়দায় তাকে প্রেম প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু ওই বখাটের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার নেতৃত্বেই উক্ত ঘটনাটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বখাটে শাকিলকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপররাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
