বরিশালের বাবুগঞ্জে সন্ধ্যা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে অনেক পরিবার। নদী ভাঙ্গনের আতংকে প্রতিনিয়তই বিনিদ্র্র রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে পূর্ব ভূতের দিয়া গ্রামের কয়েকটি বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা, দোকান-পাট ও গাছপালা বিলীন হয়ে যায়। এখনও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একটি মসজিদ।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রিক বিতরণ করেন এবং তাদের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। স্থানীয়রা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানালে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধসহ অচিরেই ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রতিরোধ কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেন।এ সময় বাবুগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. হোসেন চৌধুরী, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরে আলম ব্যাপারী এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ