২০ জুলাই, ২০১৯ ১৩:০২

বগুড়ায় যমুনার পানি কমলেও বাড়তে শুরু করেছে বাঙালির পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় যমুনার পানি কমলেও বাড়তে শুরু করেছে বাঙালির পানি

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি কমলেও বাড়ছে বাঙালি নদীর পানি। বইছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে। 

গত এক সপ্তাহের বন্যায় জেলার তিনটি উপজেলায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ১৩ জুলাই যমুনার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে। তখন বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে যমুনার পানি বাড়তে বাড়তে ১৮ জুলাই রাত ১২ টায় ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। ১৯ জুলাই  সকাল ৯টা থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করে। 

শনিবার সকাল ৯ টার দিকে যমুনার পানি কমে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।

তিনি আরও জানান, যমুনার পানি কমলেও শনিবার বেলা ১২টায় বাঙালি নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে এখন ১১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবারের তুলনায় তিন উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে ৯ হাজার ৬৫৯ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  এর মধ্যে পাটের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৫শ’ ১২ হেক্টর, আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমির, বিভিন্ন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৬১ হেক্টর জমির। ৬২ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। মরিচ নষ্ট হয়েছে ১০ হেক্টর।  আখের ক্ষতি হয়েছে ৪ হেক্টরের।

২ হাজার ৩শ’ ৩০ টি টয়লেট ও ২ হাজার ৭শ’ ৩৬টি নলকূপ পানিতে ডুবে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৮৫০ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যালেট বিতরণ করা হায়েছে। 

জেলা ত্রাণ ও  পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলায় ৬শ’ টন জিআর চাল ও ১০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ২৬৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে।

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  স্থানীয় এমপি  আব্দুল মান্নান ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

জেলার বন্যা দুর্গত অঞ্চলর মানুষ এখনও যারা বাড়ি ছেড়ে যায়নি তারা ঘরের মধ্যে মাচা উঁচু করে বসবাস করছে। আড়াই হাজার পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর