সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ ও ওমরপুর তালোড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ছোট-খাটো দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু ঈদুল আজহার আগেই সড়কটি মেরামত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ সড়কটি খানা-খন্দে ভরা। সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে অনেকটাই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা ওমরপুর-তালোরা সড়কেরও। সড়কের অনেক অংশে পিচের আস্তরণ (কার্পেটিং) উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সড়ক দুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে। সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে করে উপজেলার প্রধান দুটি সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সিএনজি চালক আব্দুর রউফ রাজু বলেন, সড়কে খানা-খন্দের কারণে মাঝে মধ্যেই সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন নষ্ট হয়ে যায়। এতে আয়ের একটি বড় অংশ চলে যায় যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। তাছাড়া খানা-খন্দের কারণে যাত্রীদেরও সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল বলেন, যানবাহনের ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে ইচ্ছা করে না। এদিকে সড়ক খারাপ হওয়ায় সিএনজি ও অটোরিকশার চালকেরাও বেশি ভাড়া দাবি করেন।সিমলা গ্রামের রুবেল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাথম-কালিগঞ্জ সড়টি বেহাল দশা। কখনো কখনো ইট-খোয়া দিয়ে খানা-খন্দগুলো ভরাট করা হয় দায়সারাভাবে। কিন্তু সপ্তাহ যেতে না-যেতেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
বগুড়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ ও ওমরপুর তালোড়া সড়কের ১’শ ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু করা হবে। তবে ঈদ সামনে রেখে সড়কে যেখানে বড় বড় গর্ত হয়েছে, সেইসব স্থানে ইট দিয়ে গর্তগুলো পূরণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব