২০ জুলাই, ২০১৯ ২০:২৫

সিরাজগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের মানুষ

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৯০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বরং যমুনা নদী এখন সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। একদিকে তীরে আঘাত হানায় বসতভিটা বিলীনের পাশাপাশি তীর রক্ষা বাঁধগুলোতে আঘাত হানছে অন্যদিকে যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহের কারণে হাজার হাজার বসতভিটা-ফসলি জমি তলিয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। 

বসতভিটা ও বাঁধ ভাঙনের আতঙ্ক আর বন্যাকবলিত হয়ে জেলার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনা খাবারের অভাব ও পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়ায় দুর্ভোগ আরো কয়েকগুন বেড়ে গেছে। 

বন্যা কবলিতদের অভিযোগ, দুর্ভোগে থাকলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বর তাদের খোঁজ নিচ্ছে না। বিশেষ করে বন্যার কারণে চরাঞ্চলের অবস্থা আরো করুণ হয়ে পড়েছে।  চরাঞ্চলে এক টুকরো জায়গা উঁচু না থাকায় সবাই পানির মধ্যেই বসবাস করছে। ঘরে চাল থাকলেও চুলো ও খড়ি ভিজে যাওয়ায় রান্না করে খেতে পারছে না। সবসময় পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। ঘরে শুকনো খাবার-বিশুদ্ধ পানিসহ ওষুধ না থাকায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে চরম কষ্টে দিনপাত করছে। এ অবস্থায় বানবাসী মানুষগুলো শুকনো খাবার ত্রাণ হিসেবে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। আর বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো কাঁথা-পলিথিন দিয়ে ঝুঁপড়ি ও খোলা আকাশে নিচে গরু-ছাগলের সাথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। 
 
তবে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, বন্যা শুরুর পর থেকেই বন্যাকবলিত সব উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব বন্যা কবলিতরা ত্রাণ সামগ্রী পাবে। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর