বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার ৩ পুলিশসহ পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল মো: রাসেল হোসেন, বিএইচ এম (পিএসআই) জহির রায়হান, এএসআই মো: আরিফুর রহমান, নুসরাতের চাচা মো: আজহারুল ইসলাম এমরান, নুসরাতের চাচাতো ভাই মো: ওমর ফারুক।
পরে আসামি পক্ষ্যের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আদালত মঙ্গলবার পর্যন্ত মূলতবী করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৪ সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করবেন।সাক্ষীরা হলেন মো: ফজলুল করিম, মোসাম্মৎ রাবেয়া আক্তার, মোয়াজ্জেম হোসেন, মো: জাফর ইকবাল।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন