বগুড়ার শেরপুরে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে অর্নাস পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. বাবুল হোসেন (১৮)। তিনি একই উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের পানিসারা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, বাবুল হোসেন বগুড়ার একটি কলেজে অনার্স প্রথমবর্ষে পড়াশোনা করে। পূর্বশক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এই গুজব ছড়িয়ে তাকে পিটুনি দেয়।বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, ছেলেধরা ও গলাকাটার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। একটি কু-চক্রী মহল এই গুজবটি ছড়িয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের পাঁয়তারা করছে। তাই এই গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বগুড়ার শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বাবুল হোসেন তার বন্ধু বাঁধনের শেরুয়া গ্রামস্থ শ্বশুর বাড়িতে আসে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ নিষ্পত্তি করতে। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তার বন্ধুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এছাড়া তাদের সঙ্গে বাবুলের পূর্ববিরোধও ছিল। তাই তাকে ছেলেধরা হিসেবে গুজব রটিয়ে গণপিটুনি দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম