২৩ জুলাই, ২০১৯ ১৬:০৩

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, বাড়ছে দুর্ভোগ

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, বাড়ছে দুর্ভোগ

জামালপুরের সাবির্ক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বইছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথেই সাথেই দেখা দিচ্ছে নানা দুর্ভোগ। 

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি মঙ্গলবার সকাল থেকে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও, এখনো বিপদসীর ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। ফলে অনেক বসতবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো পানিবন্দী রয়েছেন অন্তত সাত লাখ মানুষ। বন্যার পানি নেমে আসার সাথে সাথে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বসতবাড়ি ছেড়ে উচুঁ সড়ক বাঁধ আর আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। ফসলি জমিসহ বেশিরভাগ জায়গা পানির নিচে তলিয়ে থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষরা কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। 

ইতোমধ্যে সহায়তা পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী ফুরিয়ে আসায় অনেককেই অর্ধাহারে দিনযাপন করকে হচ্ছে। তাই বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণের সংকট রয়েছে। বন্যার পানিতে বেশিরভাগ নলকুপ তলিয়ে যাওয়া বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়ে। সেই সাথে সংকট রয়েছে গো খাদ্যেরও। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘাস, আর মজুদ রাখা খড় পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ফলে খাদ্য সংকটে শুকিয়ে যাচ্ছে গবাদি পশু। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৪শ’ ৩০ মেট্রিক টন চাল, ১৭ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত সে সব ত্রাণ বিতরণও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এদিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। বিশেষ করে ডুবে থাকা নলকুপের পানি খেয়ে এবং বন্যার পানিতে চলাচল করে ডায়রিয়াসহ চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। 

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গত এলাকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।  


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর