১৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:২২

রায়পুরের মেঘনায় মিলছে না রুপালী ইলিশ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :

রায়পুরের মেঘনায় মিলছে না রুপালী ইলিশ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না রুপালী ইলিশের। আষাঢ়-শ্রাবণ পেরিয়ে চলছে ভাদ্রের ১ম সপ্তাহ, নদীতে বেড়েছে পানি, থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি তবুও দেখা নাই ইলিশের। ফলে জেলেরা নদীর পাড়ে জাল নৌকা ফেলে অলস সময় কাটাচ্ছে। নদীতে মাছ না পাওয়ায় প্রায় ৮ হাজার জেলে পরিবার নিয়ে কাটাচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন। আগে এই মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরলেও এখন মেঘনা নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। প্রতিদিনই একইভাবে শূণ্য হাতে ফেরায় নদীতে যেতে জেলেদের দেখা দিয়েছে অনিহা। 
 
উপজেলার জালিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন (৪৭)। নদীতে মাছ শিকার করা তার একমাত্র পেশা। বছরের পর বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তার সাথে আরো চারজন জেলে একই নৌকায় মাছ শিকার করেন। তিনি জানান, সকাল থেকে ৮ ঘণ্টা চেষ্টা করে তারা ৫টি ইলিশ মাছ ধরতে পেরেছে। এতে তাদেরকে চার বার নদীতে জাল ফেলতে হয়েছে। ৫টি ইলিশ বিক্রি করেছেন মাত্র দুই হাজার টাকা। এতে দৈনিক খরচের তুলনায় আয় না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। তাছাড়া বিনিয়োগ করে লোকসান গুণছেন আড়ৎদার ও দাদন ব্যবসায়ীসহ এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া যৎসামান্য  মাছ ধরা পড়লেও দাম অনেক বেশি। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
 
উপজেলার মাছ ঘাটের আড়ৎদার সাইজুদ্দিন মোল্লা জানান, নদীতে তার প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এমনিতেই সরকার মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। এরপরেও নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীতে মাছ ধরা না পরায় ব্যবসায় লোকসান গুণতে হচ্ছে এবং ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। অপর দিকে নদীতে মাছ ধরা না পরায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পাইকাররা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, একদিকে ডুব চরের কারণে নদীর ঘনত্ব কমে গেছে, অন্যদিকে অভয়াশ্রমের পর সব ইলিশ মাছ সমুদ্রের দিকে চলে গেছে। সে কারণে নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করছি আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়বে।
 
বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর