ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার সেক্সপিয়ার সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী মাইনুল আলম সোহাগের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বাদ জোহর পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে সোহাগের মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তখন বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মরদেহ দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করে। সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। তার চাচাতো ভাই জিহাদ লাশ গ্রহণ করেন। চোঁখের সমস্যা নিয়ে বুধবার কলকাতার একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রবিবার তার দেশে ফেরার কথা ছিল। সোহাগ গ্রামীণ ফোনের ঢাকার মতিঝিল এলাকার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে বৃষ্টির কারণে কলকাতার সেক্সপিয়র সরণির একটি পুলিশ বক্সে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহাগ, তার চাচাতো ভাই জিহাদ ও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাদোট গ্রামের মুন্সী আমিনুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা ইসলাম তানিয়া। এ সময় শেক্সপিয়র সরণি ধরে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতির একটি জাগুয়ার সাজোরে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ ও তানিয়াকে চাপা দেয়। সেখান থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয় মার্সিডিজের চালক ও আরোহী।বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
