বরিশালে আশ্রিত এক যুবতীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারন এবং সদ্য এসএসসি পাশ করা এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হয়েছে পৃথক দুটি মামলা। 

পুলিশ জানায়, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপাড়া এলাকায় জুয়েল মল্লিক ও লাকি বেগম দম্পত্তির বাসায় কয়েক দিন আগে আশ্রয় নেয় শরীয়তপুরের ওই যুবতী (২৫)। ওই যুবতীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কয়েক বখাটে যুবক গত বুধবার সন্ধ্যায় আশ্রয়দাতার বাসায় হামলা চালায়। তারা আশ্রয়দাতা জুয়েলকে মারধর করে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং পাশের ঘরে যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই যুবতীর সাথে আশ্রয়দাতাকে নগ্ন করে বসিয়ে ভিডিও ধারন করে। পরে তারা জুয়েলের ঘরের মূল্যবান মালামাল লুটসহ যুবতীকে নিয়ে যায়। 

এদিকে বিয়ের প্রলোভনে কুয়েত প্রবাসীর মেয়ে সদ্য এসএসসি পাশ এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারন করে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে আরেক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বখাটে রায়হান হাসান হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে পুলিশ। 

মামলার  তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই ফিরোজ আল-মামুন জানান, সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকরনজী গ্রামের কুয়েত প্রবাসীর মেয়ে সদ্য এসএসসি পাশ করা ওই তরুণীর (১৫) সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় নগরীর বিআইপি কলোনী এলাকার বখাটে রায়হান হাসান হাওলাদারের। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের আলোকচিত্র (ছবি) ধারন করে বখাটে রায়হান। ইতিমধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্কে অবনতি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রায়হান তার ফেসবুক আইডি’তে ওই তরুণীর অশ্লীল ছবি পোস্ট করে। 

এ ঘটনায় গত বুধবার তরুণীর নানা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে রায়হানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার রাত আড়াইটার বিআইপি কলোনী এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করে। তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওসিসি’তে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান এসআই ফিরোজ আল-মামুন। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন