২২ আগস্ট, ২০১৯ ১৭:৫৫

বাবুগঞ্জে বিনাধান-১৯ কর্তন ও মাঠ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বাবুগঞ্জে বিনাধান-১৯ কর্তন ও মাঠ দিবস

বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বাংলাদেশ পরমানু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বিনা ধান কর্তন এবং কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খান। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিজ প্রত্যায়ন এজেন্সী (ডিএসসিও) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মৎ মরিয়ম আক্তার, রহমতপুর বিনা উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতার, ফলজ গবেষনা সম্প্রসারণ বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এমদাদুল হক, কৃষক আমিনুল ইসলাম এবং কৃষক আ. জলিল।

কৃষক আ. জলিল বলেন, বিনা ধান-১৯ (আউশ) এর বীজ কৃষি বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। মাত্র ৯০ থেকে ১শ’ দিনের মধ্যে ভালো ফলন পেয়েছেন। উৎপাদন করতে গিয়ে দৈনিক ৬শ’ টাকা হারে শ্রমিকের পেছনে খরচ করে সেই ধান ৪শ’ টাকা মন দরে বিক্রি করতে হলে কৃষক বাঁচবে না। কৃষি বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করলে কৃষক বেছে থাকতে পারবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। 

কৃষক জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, আগে তার ২৮ শতাংশ জমিতে ১০ থেকে ১২ মন আমন উৎপাদন হতো। বাকি সময় জমি অনাবাদি পড়ে থাকত। এখন বিনাধান-১৯ চাষ করার পাশাপাশি তারা আউশ, মসুর ডাল, আমন সহ তিন ফসল ফলান। এ কারনে এখন আর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে না।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খান বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। দেশে অধিক পরিমান চাল রাখার মত গোডাউন না থাকায় সরকার কৃষকদের কাছ থেকে বেশি ধান ক্রয় করেনি। ভালো ফসল পেতে ভালমানের বীজ যত্ন সহকারে রাখার আহবান জানান তিনি। 

আলোচনা সভার আগে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা পাওয়া বীজ দিয়ে উৎপাদিত বিনা ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কর্তন করে মাড়াই করা হয়। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর