২৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৪:৩০

আজও কাঁদছেন সেই ইয়াসমিনের মা!

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আজও কাঁদছেন সেই ইয়াসমিনের মা!

ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম।

আলোচিত দিনাজপুরের সেই ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি আজও শিহরিত করে মানুষকে। ২৪ বছর আগে ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরে একদল বিপথগামী পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন নিমর্মভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়।

এ বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। নামানো হয় বিডিআর। পরে ওই ঘটনায় জড়িত তিন পুলিশ সদস্যের ফাঁসির রায় হয় ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে রায় কার্যকর হয়।

এরপর থেকেই প্রতিবছর সারাদেশে দিবসটি পালিত হয় ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে।

তবে ঘটনার ২১ বছর পার হলেও একমাত্র মেয়েকে হারানোর বেদনা আর দুঃখ নিয়ে কাঁদছেন ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম। আর কোনও মায়ের কোল যাতে এভাবে খালি না হয় সেই কামনা করেন তিনি। নারী নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন সন্তানহারা এই মা শরিফা বেগম।

এদিকে, ইয়াসমিন স্মৃতিস্তম্ভের সম্মুখ মহাসড়কে মহিলা পরিষদের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধু ইয়াসমিন নয়, এখন প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে এ রকম ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে নারীর অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই সঙ্গে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন।

মহিলা পরিষদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গি ও মাদকের মতো ধর্ষণকারী এবং নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হোক এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

শনিবার ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের দশ মাইল মোড়ে ইয়াসমিন স্মৃতিস্তম্ভের সম্মুখ মহাসড়কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর শাখার আয়োজনে দেশব্যাপী সকল ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনকারীদের প্রতিহত এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করা হয়।

মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফা বেগম, সহ-সভাপতি অর্চনা অধিকারী প্রমুখ। 

অপরদিকে, শনিবার দিনাজপুর মহিলা বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র (এমবিএসকে) এর আয়োজনে র‌্যালি ও ইয়াসমিনের কবর জিয়ারত করা হয়।

র‌্যালির নেতৃত্ব দেন এমবিএসকে’র নির্বাহী প্রধান সুলতানা রাজিয়া খাতুন। পরে শেখ জাহাঙ্গীর গোরস্থানে ইয়াসমিন আক্তারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কবর জিয়ারত করেন এমবিএসকের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর