২৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:৫৬

দিনাজপুরে লবণজাত চামড়া নিয়ে বিপাকে আড়তদাররা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে লবণজাত চামড়া নিয়ে বিপাকে আড়তদাররা

দাম বাড়লে চামড়া বিক্রি করবেন এমন আশায় স্থানীয় আড়তদাররা চামড়া মজুত করে রেখেছেন। কিন্তু এখনও লবণজাত করা চামড়া বিক্রি করতেই পারছেন না তারা। এতে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এমনটাই জানালেন হাকিমপুরের হিলির মুন্সিপাড়া চামড়াপট্টির আড়তদার আমজাদ হোসেন। 

হিলির মুন্সিপাড়ার চামড়াপট্টিতে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে অবিক্রিত অবস্থায় প্রায় ৫ হাজারের মতো গরুর চামড়া রয়েছে বলে জানান আড়তদার আমজাদ হোসেন।

আড়তদার আমজাদ হোসেন জানান, ট্যানারি মালিকরা এখনও সেভাবে চামড়া না কেনায় ও দাম না দেওয়ায় বিভিন্ন চামড়ার আড়তগুলোয় চামড়া কেনাবেচা সেভাবে শুরু হয়নি। আমরা যেসব চামড়া কিনেছিলাম সেগুলো এখনও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ চামড়াগুলোয় লবণ দিয়ে প্রসেস করে রাখতে গরুর প্রতি চামড়া ৪০০ টাকা এবং ছাগলের ৩০ টাকা খরচ পড়ে গেছে। 

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার আমিসহ কয়েকজন ২০০ গরুর এবং ৪ হাজার ছাগলের চামড়া বিক্রির জন্য নাটোর নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে ছাগল ১৮-২০টাকা এবং গরু ১৫০ থেকে ৪০০টাকা দাম বলছে। এর মধ্যে অনেক চামড়া বাদ দিয়ে দিচ্ছে। তাই এখনো ওই চামড়াগুলো বিক্রি করতে পারিনি। ঈদের আগে যে ছাগলের চামড়া ৪০ টাকা পিস বিক্রি করেছি। সেটি এখন আরও কমে এখন ১৮-২৪ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গরুর চামড়া ৩০০-৪০০ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে। যেখানে সরকারের দাম ধরে দিয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা হওয়ার কথা।

আমজাদ হোসেন আরও জানান, সরকার চামড়ার দাম বেধে দিলেও ট্যানারি মালিকরা সেই দামে চামড়া কিনছেন না। যার কারণে চামড়ার দাম বাড়ছে না। আমরা গরুর চামড়াগুলো লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছি। প্রায় ৫ হাজারের মতো চামড়ার মজুত নিয়ে চিন্তায় আছি। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর