২২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:০৭

ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বাড়ি অরক্ষিত রেখে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে মানবপ্রাচীর

বাগেহরাট প্রতিনিধি:

ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বাড়ি অরক্ষিত রেখে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে মানবপ্রাচীর

চার শত একর ফসলি জমি এবং দুই শতাধিক বসতবাড়ি অরক্ষিত রেখে বেড়িবাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত দুই গ্রামের সাধারন মানুষ। বলেশ্বর নদী শাসনের দাবি আদায় কমিটির ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদী মানবপ্রাচীর গড়ে তুলে উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। স্মারক লিপিতে নতুন বাঁধ নির্মাণের জন্য সঠিক ভাবে সীমানা নির্ধারণ ও নদী শাসনের দাবি জানানো হয়েছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে ৩৫/১ পোল্ডারে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই পোল্ডারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ হচ্ছে বগী ও দক্ষিণ সাউথখালী এলাকা। বলেশ্বর নদের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিনিয়ত ভাঙছে সেখানকার ফসলী জমি, বাড়িঘর। নদীভাঙনে বহু পরিবার ইতিমধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কিন্তু সেই ঝুঁকিপূর্ণ অংশে নদী শাসন না করেই বার বার বাঁধ স্থানান্তর করায় ফসলী জমি ও বসত ভিটা হারাতে হচ্ছে তাদের। 

দাবি আদায় কমিটির সমন্বয়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, সম্প্রতি সিইআইপি প্রকল্পের কতিপয় ব্যক্তি নতুন বাঁধ নির্মানের জন্য অনিয়কান্ত্রিক ভাবে স্থান নির্ধারণ করায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ওই সীমানা দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে তাতে ৪০০ একর ফসলী জমি ও দুই শতাধিক বসতবাড়ি বাঁধের বাইরে অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এভাবে বাঁধ নির্মাণ হলে এক-দুই বছরের মধ্যেই বলেশ্বর নদীতে সবকিছু বিলিন হয়ে যাবে। সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদের। তাই সরকারের কাছে দ্রুত সীমানা পরিবর্তন ও নদী শাসন করে নতুন বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, বুধবার এলাকা পরিদর্শন করে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর