২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:১০

মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত ১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ খালাস

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত ১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ খালাস

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে একদিনে ৫টি  ট্রলারে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে এসব পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রওনা দেয়।

চলতি মাসে এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হল। 

৫টি  ট্রলারগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ী এম এ হাসেমের নামে ২টি, সেলিমের নামে ১টি, সাদ্দামের নামে ১টি ও বাহদুরের নামে ১টি ট্রলার। খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে আরো ২টি ট্রলারে ৫ হাজার বস্তা পেঁয়াজ। (প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি)।

পৌর শহরের বাজার ও বিভিন্ন দোকানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকার সুযোগে ভোক্তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতিদিন শত শত টন পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।     

স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, একদিনে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরে এসেছে। বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামো ঠিক থাকলে আরো বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হত। তবে ভারতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে স্থল বন্দরে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা, তাতে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কোন কারণ নেই। জেটিতে পৌঁছানো পেঁয়াজের ট্রলারগুলো দ্রুত খালাস প্রক্রিয়া শেষ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাতে চালান করা হচ্ছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরো বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর