৩১ মার্চ, ২০২০ ১৩:১২

রায়পুরের চরাঞ্চলে ত্রাণের অপেক্ষায় হতদরিদ্ররা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

রায়পুরের চরাঞ্চলে ত্রাণের অপেক্ষায় হতদরিদ্ররা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে চলছে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরণের পরিবহন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রাত্যহিক কাজ করা এ শ্রমজীবী মানুষদের জন্য সরকার, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হলেও রায়পুর উপজেলার চারটি চরের লোকজনের কাছে পৌঁছেনি কোনও ত্রাণ।

জানা যায়, উপজেলার কানিবগার চর, চর ঘাসিয়া, চর কাচিয়া ও টুনুর চরে ১০ হাজারের অধিক লোক বাস করেন। এসব লোকজন নদীতে মাছ ধরা, অন্যের জমিতে ফসল ফলানো ও দিনমজুরের কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ সময়ে জাটকাসহ নদীতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছেন।

এদিকে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ উপজেলায় অঘোষিত লকডাউন থাকায় দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষরাও কর্মহীন।

উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর কাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। করোনাভাইরাসের কারণে গত এক সপ্তাহ যাবৎ কোনও কাজ নেই। পকেটে চাল কেনার মত নেই কোনও টাকা। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ দিলেও আমাদের মত গরীবদের দিকে তাকানোর যেন কেউ নেই। সন্তান ও পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি। 

বাদশা মিয়া মত একই সুরে কথা বললেন কৃষক সেলিম বকাউল, জেলে আব্দুস সাত্তার ও দিনমজুর আবুল মিয়া। এমনিভাবে চর ঘাসিয়া, টুনুর চর ও কানিবগার মত দুর্গম এলাকায় জনগণের খোঁজখবর এখন পর্যন্ত কেউ নেয়নি। সরকার ও কারও পক্ষ থেকে কোনও ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন চরাঞ্চলের লোকজন।

রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের জন্য অতি দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকার হতদরিদ্রদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্যানুসারে অসহায় ও গরীবদের মাঝে যত দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদি/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর