আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তিকৃত তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। যদিও বগুড়ার চিকিৎসকরা বলছেন, একজনের হৃদরোগ আছে।
অপর দুইজনও আগের থেকে বেশ সেরে উঠেছেন। তারপরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ দূর করতে তাদের নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হবে। তার প্রস্তুতি চলছে।
আইসোলেশন ইউনিট বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ দুপুরে দুইজন ভর্তি হন এই আইসোলেশন ইউনিটে। তাদের একজন কুমিল্লাহ থেকে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় এসে ২৬ বছরের যুবক শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে স্থানীয়রা দ্রুত এই ইউনিটে নিয়ে এসে ভর্তি করিয়ে দেয়।
চিকিৎসা পেয়ে সে এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। একই দিনে বগুড়ার ধুনট উপজেলার এক ব্যক্তি (৪৫) সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। সেও চিকিৎসায় বেশ সেরে উঠেছেন। সর্বশেষ পুলিশ সদস্যরা ৩০ মার্চ বগুড়ার মোকামতলা থেকে ৪৫ বছর বয়সী এক শ্রমজীবীকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে তার হৃদরোগের সমস্যার সঙ্গে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশন ভর্তি করানো হয়। ওই ব্যক্তি শনিবার রাতে ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তার হৃদরোগ আছে। পাশাপাশি যেহেতু জ্বর এবং সর্দি-কাশি রয়েছে তাই আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া প্রয়োজন। সেজন্য তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শজিমেক থেকে রেফার্ড করা ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ হাসপাতারে তিন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করছেন তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নন। তারপরও ১ এপ্রিল তাদের তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে স্থাপিত নতুন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। সেখানকার রিপোর্ট মতে চিকিৎসা সেবা দিতে আরো সুবিধা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত