নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের মারপিটের শিকার অসহায় কৃষক শহিদুল ইসলামের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নির্দেশে উপজেলার ৯নং অর্জুনপুর বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম জেমস।
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুলকে মারপিটের দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ শহিদুলের পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী নান্নুসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম জেমস বলেন, করোনা সংকটকালে প্রতিটি কর্মহীন দিনমজুর পরিবারের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু তাদের বিপদে সবসময় পাশে দাঁড়াতেও পারি না। আমি মনে করি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশের মানুষের যে কোনো বিপদে আপদে, তাদের যে কোনো ধরনের সংকটে, যতটুকু সম্ভব সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
উলেখ্য, গত ১০ এপ্রিল সরকারি সহায়তার নাম্বারে ফোন করে ত্রাণ চান কৃষক শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি জেনে এলাকার সম্মান গেছে এমন অজুহাতে গত ১২ এপ্রিল কৃষককে ধরে নিয়ে অর্জুনপুর-বারমহাটি চেয়ারম্যান ইউপি কার্যালয়ে মারধর করেন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। গত মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার সকালে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন