করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে একথা জেনে মোংলা উপজেলা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন অনিমেষ সাহা নামে এক প্যাথলজিস্ট। মোংলা উপজেলা হাসপাতালের এই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটি) পালিয়ে যাওযায় ১২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্যাথলজি বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল কার্যক্রম। কাউকে না জানিয়ে সরকারের জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে যাওয়া এই প্যাথলজিস্টের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
মোংলা উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ৫০ শয্যার উপজেলা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন মাত্র ১ জন। সবেধন নীলমনি একমাত্র প্যাথলজিস্ট অনিমেষ সাহাকে দিয়ে এতাদিন চলে আসছিলো হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম।
গত ৭ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌর শহরের খানজাহান আলী সড়কে শাহিনুর আক্তার নামের এক এনজিও কর্মী নিজেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কবলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সাথেসাথেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন শাহিনুর আক্তারকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে তা খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে। এ খবর শুনেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটি) অনিমেষ সাহা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। প্যাথলজিস্ট অনিমেষ সাহা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মোংলা হাসপাতালের প্যাথলোজি বিভাগ বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছে চরম বিপাকে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, গত ১২ দিন ধরে প্যাথলোজিস্ট অনিমেষ সাহা হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। সম্ভবত করেনাভাইরাস সংক্রমণ বিষয় ভীত হয়ে পড়েছেন। মোবাইল ফোনও বন্ধ। জাতীয় দুর্যোগ মুহুর্তে তার পালিয়ে থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে প্যাথলোজিস্ট অনিমেষ সাহা ১৬ এপ্রিল সেচ্ছায় অবসরের একটি আবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠিয়েছেন বলে তার স্ত্রী জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন