প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন । যেখানে ৪০ কেজি করে দুই মাসের চাল ৮০ কেজি দেওয়ার কথা, সেখানে প্রতি কার্ডধারীর বিপরীতে মাত্র ২৭/২৮ কেজি চাল পেয়েছেন জেলেরা। কার্ডধারী অনেক জেলেই চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এতে জেলেরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং চেয়ারম্যানরে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ।
জানা গেছে, জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়রে মৎস্য-২ অধিশাখা থেকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে জেলেদের জন্য জন প্রতি ৪০ কেজি করে ২ মাসে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয় । জেলেদের অভিযোগ, আমাদরে কার্ড আছে কিন্তু চাল পাইনি আমরা। আমাদের মধ্যে যারা পেয়েছেন তারা ৪০ কেজির জায়গায় ২৭/২৮ কেজি কওে পেয়েছেন। ২/১ জন ২ বস্তায় ৬০ কেজি চাল পেয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল ৮০ কেজি করে মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কার্ড আছে সাতশর বেশি জেলের, বরাদ্ধ এসেছে ২শ জনের। বাকিরা না পেয়ে অভিযোগ করছে।
নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, জেলেদের জন্য প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪০ কেজি করে ২ মাসের জন্য ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ হয়েছে। কার্ডের বাহিরে কিংবা চাল কম দেয়ার সুযোগ নেই।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন