ময়মনসিংহে চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক অসহায় কৃষক তাদের জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কৃষকের লোকসান কমানোর জন্য তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার দিনভর ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাতলাসেন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর জুবায়ের ইসলাম তারিনের নেতৃত্বে দুই কৃষকের ১০ কাঠা জমিতে ধান কেটে দেয়া হয়। এসময় আরও ৩০ নেতাকর্মী ধান কাটার কাজে অংশ নেন।
ধান কাটা শেষে নেতাকর্মীরা কাতলাসেন এলাকার চরপাড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার দূরে কৃষক চানু মুন্সী ও আব্দুর রহমানের বাড়িতে পৌঁছে দেন। স্থানীয়ও লোকজন ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী এমন
কাজে প্রশংসা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে শ্রমিক সংকটসহ কৃষি মজুরি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকা ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। যেখানে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩০০ টাকা এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। ফলে কৃষকরা মাত্রারিক্ত টাকায় শ্রমিক জোগার করতে দিশাহারা হয়ে পড়ায় ধান নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে এলাকার দরিদ্র কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা তানভীর জুবায়ের ইসলাম তারিন বলেন, মানবিক কারণেই আমরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেছি। যে সকল দরিদ্র কৃষক জমির ধান কাটতে না পারবে তাদের ধান কাটাসহ বাড়িতে পৌঁছানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
কৃষক চানু মুন্সী ও আব্দুর রহমান বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। জমিতে নষ্ট হতে চলছিল পাকা ধান। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটার সাহায্য করেছে তা কখনো ভুলবার নয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন