বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সারা পৃথিবী আজ স্তব্ধ। থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। বেকার হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ। তেমনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ১নং ব্লকের প্রায় ৪০০ পরিবার যার অধিকাংশই রিক্সাচালক, ভ্যান চালক, দিনমজুর। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উল্লেখিত এলাকায় ভোট কম পাওয়ায় কোনো সাহায্য করেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা জরিনা বলেন, আমার ছেলে জহিরুল মিস্ত্রির কাজ করে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি। কুলসুম জানান, তার স্বামী ভ্যানচালক। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। হামিদা আক্তার জানান, তিনি প্রাইভেট পড়িয়ে চলতেন। প্রাইভেট বন্ধ হওয়ায় খুব কষ্টে আছেন।
সবচেয়ে কষ্টকর পরিস্থিতি এলাকার রিক্সাচালক মংলুর। তিনি গত তিনদিন যাবত তার পরিবার শুধু আলু সেদ্ধ করে খেয়ে ছিল। তিনদিন পর এলাকায় এক শিশুর মৃত্যুর মিলাদের দাওয়াতে ভাত দেখে তিনি হাও মাও করে কেঁদে ওঠেন।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবো। তবুও কারো কাছে হাত পাতবো না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার জামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই এলাকা অত্যন্ত হতদরিদ্র এলাকা। কেউ কেউ এলাকার মুড়ি খেয়ে দিন পার করছে। চেয়ারম্যানকে বললে তিনি বলেন কোন বরাদ্দ নেই। কয়েক দফায় আমি ২০ টি ত্রাণ পেয়েছিলাম। সেগুলো ২০টি পরিবারের মধ্যে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিমকে অবহিত করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক। আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার