ফেনসিডিল পাচারে পিছিয়ে নেই সমাজের উঁচুতলার মানুষও। শিক্ষক, আইনজীবি, ডাক্তার, ব্যাংক কর্মকর্তা, বড় ব্যবসায়ী, এমনকি সাংবাদিকরাও নেমে পড়েছে লাভজনক এই মাদক ব্যবসায়। বেনাপোল থেকে এক বোতল ফেনসিডিল বরিশালে নিতে পারলেই নীট মুনাফা ৫০০ টাকা। আর তাই তো সুদূর বরিশাল থেকে বেনাপোলে মোটরসাইকেলে করে ছুটে এসেছে সমাজের মুখোশধারী মানুষ গুলো।
ধাওয়া খেয়ে ৫ জন পালিয়ে গেলেও বিজিবি'র চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি বরিশাল শহরের নামিদামি সরকারী স্কুলের এক শিক্ষক। যশোর বিজিবি'র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সেলিম রেজা জানান, আজ সোমবার সকালে সীমান্তবর্তী পুটখালি সড়ক দিয়ে বেনাপোল বাজারে আসার পথে শিকড়ি বটতলা নামক স্থানে টহল বিজিবি সন্দেহভাজন এক মোটরসাইকেল আরোহীকে থামিয়ে তার ঘাড়ে ঝুলানো স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম সুমন। তার পিতার নাম মকবুল আহমেদ। তিনি বরিশাল গভঃ মডেল স্কুল এবং কলেজের সহকারি শিক্ষক।
আটক নজরুল ইসলাম সুমন সাংকাদিকদের বলেন, তারা ৬ জন বরিশাল থেকে মোটরসাইকেল যোগে বেনাপোলে ফেনসিডিল নিতে এসেছিল। এর আগেও তারা ফেনসিডিল নিয়ে গেছে। গোটা বরিশাল শহরের মাদকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে।
সুমন জানায়, বরিশালের আইনজীবি আলম রশিদ লিখন, সদর হাসপাতালের ডাক্তার মিঠু, উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ডোনা বিশিস্ট ব্যবসায়ি বুলেট এবং মনির তার সাথে ছিল। তারা বিজিবি'র চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ