লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে যাওয়ায় ৯ জেলেকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এর মধ্যে ৩ জনের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে জড়িমানাও করা হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরীন চৌধুরী এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় জব্দ করা হয়েছে প্রায় ১৫০ কেজি জাটকা, ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা। উপজেলা কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছিলো। ভোর রাতে কোস্টগার্ডের সদস্যরা নিয়মিত অভিযানে বের হয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১ জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ৯ জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া তাদের মধ্যে ৩ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে জড়িমানা আদায় করেন। অপরদিকে ২ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলেদের কাছ থেকে জব্দকৃত জাটকা মাছ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় এবং ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। নৌকাটি উপজেলা মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, মোঃ দাদন গাজী, মোঃ শহীদ, মোঃ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, মিজান মাঝি, শাহ আলম সরদার, রহমত আলী, রাজিব সরদার ও মোঃ ইউসুফ আলী।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী বলেন, জাটকা সংরক্ষণে নদীতে মাছ শিকাররোধ নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে মাছ শিকারকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে।
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, নিষিদ্ধকালীন সময়ে জাটকা ধরার অপরাধে ৯ জেলেকে দণ্ড দিয়ে কারাগারে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাটকা রক্ষায় সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাটকা নিধন রোধে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ