ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর রফার চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের কান্টাহাটি এলাকার এক স্কুলছাত্রী পাশের রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুয়োগে তার ছেলে কান্টাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি শামীম হোসেন ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় শামীম। এরপর ওই মেয়ে বিষয়টি আর কাউকে বলেনি। এক পর্যায় মেয়েটির শারিরীক অবস্থা দেখে সন্দেহ করে পরিবারের লোকজন। গত বুধবার পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মেয়েটি বিস্তারিত জানায় পরিবারকে।
পরিবারের লোকজন বিষয়টি মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সোমবার স্থানীয় মাতব্বর আলীম উদ্দিন বিষয়টি মীমাংসার করার জন্য স্থানীয় জামিল হোসেনের বাড়িতে সালিশ বসে।
স্থানীয়রা জানান, সালিশে ধর্ষক শামীম হোসেনের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা কাবিনে ও ২০ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এসময় ধর্ষকের প্রথম স্ত্রী তাতে বাধা দেন। এক পর্যায় সালিশ ফের আজ মঙ্গলবার রাতে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওই ভুক্তভোগীর মামা জানান, বিষয়টি মামলা করতে না দিয়ে এলাকার মাতব্বররা মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযুক্ত শামীম হোসেন বলেন, জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মেয়েটি আমার নাম বলছে। তবে বিচারে মাতব্বরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানেন কিনা, জানতে চাইলে কোন কথা বলেননি।
এ ব্যাপারে সালিশের মাতাব্বর আলীম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে জামিলের বাড়িতে আমরা ১৫-১৬ জন বসেছিলাম। কিন্তু সমাধান হয়নি। আজ মঙ্গলবার রাতে আবার বসা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা