আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জের ধরে একজন আওয়ামী লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বাটইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ বাহার উদ্দিন (৪৫) বাটইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাহার উদ্দিনের অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আমিন জনি ও শাকিব গ্রুপের মধ্যে সকালে ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা দোকান ঘর এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শাকিব গ্রুপের কয়েকজন যুবক আমার বসতবাড়ির উপর দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি তাদেরকে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে আমার বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি তাকে আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিলে সে আমার বাম পায়ে গুলি করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাটইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান’র মদদে ছাত্রলীগ নেতা জনি এলাকায় দেদারছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত তারেক আমিন জনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে লক্ষ্য করে শাকিব নামের এক যুবক গুলি করলে বাহার পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, গুলিবিদ্ধ বাহার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার কারণে তিনি দলীয় পদ থেকে বাদ পড়েছেন। তবে তার মদদে এলাকায় কেউ কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় টিপু ও রুবেল নামে আরও ২ যুবক আহত হয়েছে। তারা কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল