লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় চরম খাবার সংকটে পড়েছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থায় ব্যক্তি উদ্যোগে ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঔষুধ ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান আনসারী।
প্রতিদিন দেড় শতাধিক মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন রান্না করা খাবার প্যাকেট। এ খাবার পাচ্ছে রোগীসহ ও হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্সরাও।
করোনাভাইরাসে কারণে টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন ঘোষণার পর থেকে খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীর স্বজনরা না খেয়ে দিন পার করতো। রোগীর স্বজনদের কষ্ট দূর করতে প্রতিদিন দুপুরে খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের বাংলাদেশ ফার্মা নামে ঔষধের দোকানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান আনসারী। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আদালত পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রতিদিন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রোগীর স্বজনদের দেড় শতাধিক মানুষের মাঝে খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। গত ১২ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন দুপুরে খাবার বিতরণ করেন তিনি। প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ভর্তি রোগীর সংখ্যা নিয়ে সেই অনুযায়ী খাবার রান্না করেন। শুধু রোগীর স্বজন নয়, হাসপাতালের আয়াসহ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদেরও খাবার দিচ্ছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে তার অর্থায়নে চলমান মাদ্রাসা ও এতিমখানা বন্ধ রয়েছে। সেই মাদ্রাসা ও এতিমখানার টাকা দিয়ে সে প্রতিদিন দেড় শতাধিক রোগীর স্বজনদের খাবার নিজ বাড়িতে রান্না করে দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। একদিন মাছ, একদিন ডিম ও একদিন মাংস দিয়ে খাবার বিতরণ করেন তিনি। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য ট্রমা সেন্টারের দায়িত্বরত ১০জন স্টাফের প্রতিদিন তিন বেলা খাবার দেন মো. কামরুজ্জামান আনসারী।
হাসপাতালের আবাকি চিকিৎসক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন যাবত স্ব-উদ্যোগে বাংলাদেশ ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান আনসারী রোগীর স্বজনদের খাবার বিতরণ করছেন। তিনি মাববতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মো. কামরুজ্জামান লিটন বলেন, কয়েকদিন আগে ফেসবুকে দেখতে পেলাম স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতালে খাবার দিচ্ছে। আমি তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমিও রোগীর স্বজনদের খাবার দিবো। তখন থেকে প্রতিদিন দুপুরে খাবার বিতরণ করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল