চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামে মুনাতাজ আলী (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুনাতাজের বাম হাত ও মাথাসহ শরীরের কয়েকস্থানে জখম হয়েছে। সে তালতলা স্কুলপাড়ার আব্দুল মজিদে ছেলে।
মুনতাজের সাথে থাকা স্বজনরা জানান, মুনাতাজ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত মুনাজাত আলীকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আহত মুনাজাত আলী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুনাজাত আলী ও মামুন নামে এক যুবক তালতলা গ্রামের তেতুলতলাপাড়ায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এসময় একই পাড়ার তানভীর, হাবিব, সজিব, আশিকসহ ৭/৮ জন তাদেরকে ডাক দেয়। মুনাজাত আলী সেখানে গেলে তাকে দেশীয় আস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আর সালাম বলেন, মুনাজাত আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার বাম হাত ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানের অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তার বাম হাতের আঘাত গুরুতর হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এদিকে, আহত মুনাজাত আলীকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার আহত মুনাজাত আলীর খোঁজ খবর নেন এবং দ্রুত তাকে ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় ৭/৮ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ