ফেনীতে এই পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে দুইজন। তাদের ফেনী ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তবে ফেনীতে করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই বলেলেই চলে। এখানে চিকিৎসকদের জন্য ৯৫ মাস্ক নাই, পিপি নেই।
ফেনীতে নেই কোন আইসিইিউ, নেই ভেন্টিলেটর সুবিধা। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য তিন বছর আগে বরাদ্ধ হয়েছিল। ২০১৮ সালে ফেনীর সিভিল সার্জন ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন আইসিইউর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ ও হয়েছে। যা গণমাধ্যমগুলোতে ঢালাও ভাবে প্রচারও হয়েছে। এই আইসিইউর জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছিল বলে জানাযায়। ফেনীতে নেই করোনা পরীক্ষাগার। কেউ করোনা আক্রান্ত কীনা তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হয় চট্রগামের সীতাকুন্ডে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সেম্পল সংগ্রহ করে তা পরের দিন সীতাকুন্ডে পাঠায়। প্রতিদিন জেলার ৬টি উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরের দিন এই সব সেম্পল চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর সিরিয়াল দিয়ে টেস্ট করা হয়। তাই প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষনের কারনে এই সেম্পল গুলো ভালো থাকে কীনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
জানা যায়, সদর হাসপাতালের নার্সরা গতকাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তারা করোনা রোগীর চিকিৎসা করবে না। কোন প্রোটেকশন না থাকায় তারা তারা চিকিৎসা সেবা দিতে অনাগ্রহী বলে জানা যায়। এদিকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ও জেলা সিভিল সার্জকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন না।
রোগী না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতলে করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরী রাখা আইসোলেশন ওয়ার্ড গুলো আপাতত খালি রয়েছে। এদিকে জেলায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩ সেন্০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ বেডসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেড মোট ১০৫ বেডের আইসোলেশন কর্নার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার