পাহাড়ে ধান কেটে কৃষকের মুখে হাসি ফুটালেন রাঙামাটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার লংগদু উপজেলার আঠারকছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দেখা যায় এ ধান কাটা উৎসব। এ উৎসবে অংশ নেন উপজেলার ছাত্রলীগের প্রায় ৩০জন সদস্য।
শুধু ধান টানা নয়, ধান মাড়াই করে কৃষকের ঘরে ঘরে পৌছে দেন তারা। এতে করোনার কালো ছায়ার মাঝেও আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা যায় কৃষকের চোখে মুখে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যখন পুরো রাঙামটি জেলা লকডাউন। ঠিক তখনই পাহাড়জুড়ে সোনালী রঙ ছড়িয়েছে ইরি, বোরো ধান। ধানের বাম্পান ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও করোনার কালো ছায়া ম্লান করে দেয় সব। ধান কাটার মানুষ না পেয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েন তারা। এরই মধ্যে শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়ও। কষ্টের ফসল চোখের সামনে নষ্ট হতে দেখে অনেক কৃষক মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ঠিক তখনই কৃষকের সহায়তায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রাঙামাটি লংগদু উপজেলার আঠারকছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া জানান, পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ধান কাটার মানুষ না থাকায় কষ্টের ফসল চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নেছার উদ্দীন হৃদয়, লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান রাজু, যুগ্ম সম্পাদক বাবলা দাশ, সাবেক লংগদু মডেল কলেজ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর সরকার, রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের নুরুল ইসলাম ও আটারকছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান উদ্দিন রানা, জুয়েল রানা, মুস্তাফিজসহ আরও ৩০ জনের মত এগিয়ে আসেন তাকে সহযোগিতা করতে।
সবাই মিলে তার প্রায় তিন একর জমির পাকা ধান কেটে দেন। শুধু তাই নয় সেই ধান বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন তারা।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নেছার উদ্দীন হৃদয় জানান, সারাদেশে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। এতে শ্রমিক সংকটে কৃষকরা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। তাই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কাটতে এগিয়ে এসেছি। এমন সময় সবাইকে সবার নিজ নিজ স্থান থেকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আমরা ছাত্রলীগ বলে না, মানবিক দৃষ্টিতে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম