ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না। তাই ২০ শতাংশ জমিতে পেঁকে যাওয়া বোরো ধান নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পরে নিজেই শুরু করেন ধান কাটার কাজ। তাকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসে ‘স্বপ্নতরী’ নামের একটি সংগঠন।
বুধবার সাত সকালে উপজেলার কুড়িপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের হীরাপুর এলাকার ধান কেটেন দেন ‘স্বপ্নতরী’ নামে মানবিক সংগঠনের সদস্যরা। স্বপ্নতরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, করোনায় অনেকেই শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছিলেন না। আমরা দুলাল ভূঁইয়া নামে একজনের তারাগন এলাকার (হেলিপেড মাঠের পাশে) ধান কেটে দিবো বলে সিদ্ধান্ত নেই। এরই মধ্যে বুধবার সকালে দেখি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম একা নিজের জমির ধান কাটছেন। এ অবস্থায় সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটার কাজ করে দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক সাইফুল ইসলামের ২০ শতাংশ, দুলাল ভূঁইয়ার ৩০ শতাংশ ও জজ মিয়ার তারাগন এলাকার প্রায় ৪৫ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন ‘স্বপ্নতরীর’ সদস্যরা। সোলেমান ভূইয়া, মনিরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, শাহীন ভূইয়া, মো. আল-আমিন, সজীব, সুজন, শাহাদাৎ, মুন্না, সামির, ইমাম উদ্দিন, সানি, ওসমান নামে যুবকরা সংগঠনের পোশাক পড়ে ধান কাটার কাজে অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল