করোনাভাইরাসের কারণে পটুয়াখালীর বাউফলে চলছে অঘোষিত লকডাউন। রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য। কোথাও কেউ নাই। কেউ এখন গান শোনে না। সবাই ঘরে বসে আছে। এ কারণে বাউল মিজানুর রহমান মোল্লা পড়েছেন বিপাকে। পরিবারের কোন রোজগার না থাকায় খাদ্যাভাবে দিন কাটচ্ছে তাদের।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গোসিংগা গ্রামের এক নিভৃত পল্লীর বাসিন্দা বাউল শিল্পী মিজান মোল্লা। পরিবারের নয় সদস্যের তিন জনই গানের সাথে সম্পৃক্ত বলে এলাকার লোকজন বাউল পরিবার হিসেবেই চেনেন। শিল্পী মিজানের বাবা ইউনুস মোল্লা (৭৬) ১৯৮৪ সালে সদর ইউনিয়ন থেকে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এলাকার মানুষ মধ্যবিত্ত হিসেবে জানলেও বর্তমানে ওই পরিবারের দিন যাচ্ছে অর্ধাহারে অনাহারে।
বাউল শিল্পী মিজান বলেন, আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাউল গানের আসরে ডাক পড়ত। সেখানে গিয়ে গান গাইলে কিছু টাকা পাওয়া যেত। আর বাকি সময়ে বাড়ির কাছেই ছোট্ট কাঁচা বাজারে কাঁচামাল বেচা কেনা করতাম। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসন ওই বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন সব কিছুই স্থবির। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। যতটুকু সঞ্চয় ছিল তা এতদিনে শেষ হয়ে গেছে। ধারকর্য করে কত দিন চলা যায়।
বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল